দেশের আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই দিবসগুলো কেন বাতিল করা হচ্ছে, তার কারণ জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর, ২০২৪) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। সেই সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন দিবস যুক্ত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাসকে নষ্ট করে ফেলেছে। শেখ মুজিবুর রহমানকেও তো আওয়ামী লীগই নষ্ট করে ফেলেছে। যেভাবে তার মূর্তি করে তার পূজা বাংলাদেশে শুরু করেছে, এটা একটা ফ্যাসিস্ট আইডিওলজির অংশ হয়ে গেছে। একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে সরকার, যে নতুন বাংলাদেশ সেখানে তো আমরা এই ফ্যাসিস্ট প্রবণতাগুলো রাখতে পারি না।
এর আগে আজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ উপদেষ্টা পরিষদের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস বাতিল করা হচ্ছে।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী এবং ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস বাতিল হচ্ছে।
বাতিল হওয়া দিবসগুলোর মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত।
এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন অথবা পালনের পরিপত্র থেকে এই দিবসগুলো বাতিল করা হবে।
প্রতিমুহূর্ত/নীল/আল-আমিন