২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:১৯

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই,বন্যার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই,বন্যার আশঙ্কা

টানা তিন দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে

16px

উজানে পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে বেড়েই চলছে তিস্তা নদীর পানি। এরই মধ্যে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি গেইট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আবারো বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

শনিবারের (২৮ সেপ্টেম্বর,২০২৪) মধ্যে পানি আরো দ্রুত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। দ্রুত পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর,২০২৪) দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

বৃহস্পতিবার থেকে রংপুর অঞ্চলে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি করছে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও সংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী দুই দিন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীর পানি সতর্ক-সীমায় প্রবাহিত হতে পারে, যার ফলে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে পরবর্তী চার দিনে তা বৃদ্ধি পেতে পারে।

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার সব নদী এবং বিলের পানির স্তর বাড়ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে, বসতবাড়ি ও রাস্তা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে, এবং আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ডালিয়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে, তাই পানি চাপ সামলাতে ৪৪টি জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং আরো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিমুহূর্ত/নীল/আল-আমিন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

পত্রিকার বাছাইকৃত